rodchaya

rodchaya

Sunday, 24 July 2011

আই


অবসরে ভাবি তোমার কাছে বসি 
অসপন্ত হয়ে সময়ের বেষ্টনী পারিনা লঙ্ঘিতে
ওদিকে নেশা গুলোও পিছুটানে
ছাড়া আর ধরার মাঝে এ ধরায়  কত কৌতুহল
নিভৃত ভূবণ দিবা স্বপনচারিতা
তথাপি নিভৃতে তোমায় ভেবে 
পিছু পাণে এগিয়ে চলি
তুমি মানো, না মানো ।

তুমি জানো কি না জানো, 
তবে কর্মযজ্ঞে আহুতি ,
সবই সেই ভ্রুণে ফিরে যাওয়ার প্রগতি
প্রারব্ধের অঙ্কে ধণাত্মক রাশির
উল্ললিত প্রস্ফুটণের বাসনা।
স্বার্থ জড়িয়েই ছিল।
আর ছিল তোমায় পাওয়ার ছল।
পবিত্র তপোবন ,স্নিগ্ধ পবন 
হ্রিদি দেহারায় তোমায় স্থাপন
চিন্ময়ী , তুমি প্রজায়িনী 
মা আমার , এত টুকু তুমি জেন।

কোথায় যাই


আমার হাসিতে কান্না হানা দিল, 
বিষাদ অবসাদ গুলো
কালো উতকলিত কাদম্বিনী সেজে
মনের তটকিনারায়
এসে দাঁড়ায়।
সনির্বন্ধ হিতপোদেশে বিমতি। 
হেসে ,খল বেশে নির্বিশেষে;
বাড়ায় দুঃসাহসিক
পদক্ষেপ ।
আমার অগ্নিপরীক্ষা
শিক্ষা দিক্ষার চরম সমীক্ষন।
প্রতি ক্ষণে চৈতণ্য দিশেহারা 
কাল আগ্রাসিত ছলনা , বলনা , কোথায় যাই ?

Friday, 22 July 2011

অন্তস্বত্তা



এই বাসরে এসে, লজ্জা বিসর্জন হোল শেষে
ঘুরে ফিরেই ভাবের ভ্রুণে অন্তস্বত্তা,
বিজনণ হয়েই চলেছে
নবসাজে আসা থেকে ।

না , কোনো বড়ি নেই, নেই কাটাছেড়া
নেই কোনো প্রতিরোধ,
এ যেন স্বতঃস্ফুর্ত দান, প্রথা ভেঙ্গে আলিঙ্গণ
ভুলিয়েছে সব বোধ।

আরো বলি , এই প্রসূতিতন্ত্রে যন্ত্র নেই
জনয়িত্রি হয়ে বিয়ন্ত, প্রজাতা, সাবিত্রী।
ধাত্রী নিষ্প্রয়োজন।
শতশত ছাণা পোণা
প্রাণ সংহার মানা ,
নেই জন্মশাসন হানা।

হেথা গভীর কামনা শত মৈথুণ সুখ
পারিজাত মোর, মেটায় সকল দুখ।

আবাহন আর আবাহন তার নেই যে বিসর্জন
ক্ষণে ক্ষণে তাই বিয়াতে যে আসি
উণ্মেষ ভাব যত রাশি রাশি হারিয়ে সংবেশন।

জানি যাবে থেমে অজনক হয়ে এই সুখ একদা
নিধুবনে আর কাটবে না দিন ভাবে নিস্বনে সদা
নিশুতি আসবে ভালো সে বাসবে জড়িয়ে ধরবে মোরে
উপজননে ফিরে যাব ফের একেবারে দূরে সরে।

বি এ আর বিয়ে


ব্যাচেলর ডিগ্রি পাবার আগেই আমার বিয়ে হয়ে গেছে
আর ম্যারেজের পর আর বিএ করা হয় নি
বাসরে এ নিয়ে অসুবিধা ছিলই
আসরে আসরেও অনেক বিভ্রান্তি।
বিএ র আগেই বিয়ে দিয়ে
যত অশান্তি।

আমার ইচ্ছে ছিল না এ কথা বলার
অবলার সিদ্ধান্তে প্রেরণা অন্তে
কণায় কণায় কোনায় এসে গিয়ে,
মহাশয়েদের সহানুভুতির বিভুতি নিয়ে 
ভাবছি বিএ টার নিমিত্তে আরো একবার
প্রয়াস লাগাব । একটু দেখবেন ত'
ভালো জবাব পান কিনা ?
প্রশ্নমালা মালাবদলের সময় হাতে পেয়েছি।

মাথা ঘোরার রোগটা সাতপাক থেকে শুরু
অগ্নি সাক্ষী রেখে বলছি
বাসি হয়ে বাশী বাজানো সেই থেকে।
অন্তর হস্তান্তর করে 
মাকে দাসী দিয়ে দাস, দাসত্ব স্বীকারে দায়বদ্ধ
আর মুক্ত কারাগারে্র বিশুদ্ধ সমীরণে বেহুশ ।

আপনারা কি বিএ করেছেন ?
বিয়েও করেছেন ?

বাহঃ! সুন্দর।

বেতাল


সৃষ্টি তে গোলোযোগ গুলো হোলো এই
স্রষ্টা নিজেই পায় নি কোনো খেই।
হারিয়েই গড়েছে নিত্য নৃত্য কাহিনী
স্বয়ং বানানো ব্যকরন বাহিনী
দক্ষ যজ্ঞের সেকেন্ড এপিসোড
সোর্ড নামাও , তারপর কথা বলব।

তথাপি বিশ্বযুদ্ধ পরিসমাপ্তির খেলা অব্যহত
সেখানেও সৃষ্টি ও তার স্রষ্টা নয়ে ছয়ে অবিরত
সঙ্কোটমোচন করেছিলেন এ খেলা শুরু
সেই থেকে অবিরাম হৃদয়েতে দুরু দুরু। 
আমায় কেন বিঁধছেন মহাশয়
এত স্রষ্টার সংশয়,
ড্রাগের সাম্রাজ্যে মাথা ভারী
অথচ অমৃতের অধিকারী।
গৌরী কে বলনা , এ কেমন ছলনা!
ভাবের নৈপুণ্যে সুনামী
গুরুচন্ডালিকা উর্ধগামী
আয়লা লায়লা সয়ে ছত্রখান
এখন স্বদেশে বিদেশের জয়গান
বগলে অগলে অন্তর্যামী  
আমি অধোগামী।
স্রষ্টা বেসুরো গান গায়
ছন্দ সুর ডানে বায়ে
১৫মাত্রা তিন তাল
আমায় কেউ দিল না গাল
৬ মাত্রা একতালে
সোমে এসে মেলে তালে
৯ মাত্রা ঝাপাঝাপি 
আমি চুপিচুপি
তেহাই বাজাই
তুমি আলাপ টা শুরু করো দেখি 
সুরেন বাবু , আমি যাই
নিজেকে বাধতে...

পত্র


হে প্রিয়তম, তোমার সন্দেশ পেলাম 
সাথে প্রেরণার ছন্দ
সুরভিত আকাশ বাতাস আর এই জীবন
এখানে নেই আর কোন দ্বন্দ
কন্যাকুমারীতে তুমি আছ চিরতরে
গন্ধর্ব পাহাড়ে আর ওই বিশাল বালুকারাশির 
কণায় কনায়।
হায় মনোমোহিনী, তোমার মায়ায়
সব সময় হয়েছে চুরি
আমি অপারগ , কেমনে মেটাই দুরি!
পারো যদি হৃদয় গঞ্জে
এস একবার
দেবপুরী গড়ে দিও ঢেলে করুনা অপার।
বাকি সব রেখেছ যেমন , রয়েছে তেমন।
শুধু তোমার-ই প্রতীক্ষা 
জ্বেলে প্রদীপের শিখা 
তোমার-ই , তোমার-ই তরে ।

আলাপ


আলাপ হোল তোমাতে আমাতে 
অধরা পরিচয়ে
রুপ না দেখে অরুপ কে নিয়ে
ভিন্ন ভাবনায়।
আজকাল এটা নাকি হয়।

প্রাসঙ্গিকতা আজ এই,
নয় তো যাতনাময়
মনে মনে এটা ভেবে
কাটাই সংশয়।

তবু আছে মনে রসভরা সুধা 
ক্ষুদ্র মুঠিতে এই যে বসুধা
আর আছ শুধু তুমি,
হৃদয় এর স্বর হে ঈশ্বর
তোমাকেও দেখিনি

নিজে নিজেকে


কাউকে যে কথাটা বলা যাবে না 
বলব সেটা তোমায়।
অস্ফুট বাণী,
শুনবে কি শুনবে না তুমি
কি জানি
তবুও শান্তি
কিছুটা হাফ ছেড়ে বাচা।

কুলকুল ধারায় বয়ে গেছে কাল
চোরা স্রোতের ছাপ 
ফিরে চেয়ে দেখি 
সেই আকাশ সেই বাতাস 
সেই মাটি সেই দেশ
ভিন্ন সময়
ভিন্ন আমি 
এক-ই তুমি
বেছে চলেছ আগাছা।

কাল অধরা


গামছা পড়ে আসতে পারেন ?
বাঁধ বাধবো ,কাল ধরবো বলে ।
অনিশ প্রবাহিত সে কাল কাল ধরে ,
গড়ে চলেছে ইতিহাস প্রতি পলে,
আসবেন , কাল ধরব ?
জ্ঞাণ বিজ্ঞানে দেয় নি সে ধরা ।
ঘাম ঝরিয়ে বসুন্ধরা 
শোণিতধারায় নেয়েছে কখনো
হিংসাতে জ্বলে জ্বলে
আসবেন , কাল ধরব বলে ?

Thursday, 7 July 2011

কে জ্বালাবে ?




একদা কাঠে জ্বলতাম, এখন তড়িৎ ব্যবস্হা
একটু বেশী একাকীত্বতা,
ডোমেদের বাশের নেই সেই পরিচরয্যা ,
নেই সেই চিতার সুখশয্যা , নেই ফিরে দেখা
কত ফোটা আঁখি জল , শীতল করবে পরকাল।

মনের জ্বলনের বৈদ্যুতীকরণ? জ্বলনের আধুনিকতা ?
এসেমেস আর এমেমেস এর সৃজনশীলতা ?
কিছু ভগ্নতা আর নগ্নতা, পরিশেষে আবদ্ধতা।
বলোহরি হরিবোলের কিছু ডিজিটাল ব্যবস্হা।
আমার নিজের প্রতি অনাস্হা ।

সেমিকন্ডাকটরের প্রজুক্তিকরনের সাথে সাথে
সমাজে ডোপিং সরবত্র।
সেটাও আধুনিক চিতায়
শোবার মতোই,
লজিক গেটের বিপরীত মেরুকরনে
আপাতত একমুখী স্রোত।

তুমি সব জেনে আমায় ছেড়ে দিলে
আমি ডোম কোথায় খুজি,
সার্চ দিয়ে বসে ই-মেল দেখছি......আর জ্বলছি।।