rodchaya

rodchaya

Sunday, 4 September 2011

প্রমাদ




ভেসে যাক স্বপ্ন শত, ভেঙ্গে যাক হৃদয় তত
আমি আর ভাঙ্গবো না জীবনে
চড় সে পড়ে পড়ুক , খরা তে খোরাক মরুক
শ্রাবণে আসবে নেচেই ক্ষণে ।

লগনের ঐশী জোয়ার ,না লেগে আজ কে তো আর
ফোটেনা পলাশ বকুল যুঁই
ফিরে ঐ দেখি  চেয়ে, অতীতের ছন্দ বেয়ে
ফুটেছে শিউলি চাঁপাভুঁই

যায় যাক ছন্দ ঝরে, তুলব নতুন করে
প্রাণের ঐ দর্পদিনের ঝড়
বিষাদের বজ্র বীণা ,দেখেছি বেসুর কিনা
শুনেছি সুর যে ভয়ঙ্কর ।

ওরে ঐ মন টি আমার , আমি আজ কুমোর কামার
বাঁধব প্রথম ধরা তানে
শুনে সে শব্দ শীতল ,নাচবে মরুতে জল
আমার ঐ অন্তরেরই গানে ।

        ..................প্রদীপ




প্রণয়




দিশাহীন সংকোচে প্রাণ ভরা ভালোবাসা
দেখেও দেখে না বুঝেও বোঝেনা ভাষা
বধির হৃদয় রুধির স্রোতে তপ্ত
প্রেম নিবেদন এখনো অসমাপ্ত

সাজগোজ যত অবহেলাতেই মিষ্টি
তন্দ্রা জড়ান কাজল চোখের দৃষ্টি
উড়ন্ত কেশ জুড়ন্ত মনে ধেয়ে
কি যে অপরুপ অপলক থাকি চেয়ে

অঞ্চল মেঘ উড়েছে পবনে মত্ত
একাকী দেখেছি লুকিয়ে একথা সত্য
নিখাদ ভাষায় জীবন্ত এক কবিতা
আমার মনের প্রথম প্রেমের সবিতা

না বলা কথা অবলার প্রতি লাজে
বলে গেল সে প্রান ভরে তাই বাজে
“তুমি কি আমারে চেয়েছ পরান ভরে
আমি যে বেধেছি আমায় তোমার সুরে”।

      ...............প্রদীপ 

আদ্যপান্ত


হাজার চোখের মেলায় আমি আসব না
একটি মনের ভেলায় মন্দাকিনী
রুপের মালার ভূষণ মেনে মন
স্বচ্ছ কাঁচে মনিমালার সুখ।

নগ্ন দেহে কাছে আসা দায়
নগ্ন মনের শোভা অপরুপ
নগন্নতার সুখ ভরা যে ভারী
নাগপাশেতে মুক্ত সকল দুখ

আজকে তোমায় গল্প বলার পালা
সংক্রমণে ছন্দ গেল এসে
পরমাণূ অনু সবই তোমার
আমি ছিলাম চিরন্তনী মূক
  
সৌরশক্তি প্রথম ছটায় এসে
অমৃতের ঐ লগন তখন শুরু
প্রেমানন্দে অট্টহাসি মিশে
নাচে আমার যুগল তণুর বুক

সকল ঘটা ঘটের-ই  আবেশে
আমি তুমি নাই বা মানতে পারি
তথাপি এই মান্য সনাতন
সৃষ্টি এটাই হয়ে যুগে যুগ


..................প্রদীপ


ঘুম নেই





ঘুম নেই সময়ের চোখে ,ঘুম নেই জনশূণ্য পথে
ঘুম নেই ললাটের সাথে পাত পেতে কল্পনার
ঘুম নেই রাতের তারার
এই বেলা যত কাজ সময়ে সারার

ঘুম নেই বাদুড় পেঁচা মাসীদের ,
ঘুম নেই পথ চেয়ে বসা দেবদাসীদের,
নিষিদ্ধ পাড়ার
এই বেলা যত কাজ সময়ে সারার
  
ঘুম নেই মন্ত্রের ঘুম নেই যন্ত্রের
ঘুম নেই অশরীর পাগলপারা
ঘুম নেই নীতিদের কর্ম ছাড়া
এই বেলা যত কাজ সময়ে সারার

ঘুম নেই রাজসুখে , ঘুম নেই বড় দুখে
ঘুম নেই পথেঘাটে নিয়তি হারার।
ঘুম নেই অনাহারে ঘুম নেই কারাগারে
ঘুম নেই যুগে শত দেহ-দেহারার।
এই বেলা যত কাজ সময়ে সারার

প্রতি-মা ও একটি অসুর




প্রতি-মা সাথে অজস্র অসুর ও কাটা মোষ
সিংহ এর সংখ্যা আপাতত বাড়লেও বনদপ্তর নথিভুক্ত করবে না
ঠিক যেমন বাড়ন্ত অসুর নথিভুক্ত হয় না সমাজে।
যাই হোক ,ধরাতল উথলে উঠেছে, মা প্রতিমায় আসছেন
নিদেন পক্ষে একবার, যদি একটি বার মা আসতেন ,
এত আড়ম্বর থাকত না ,অসুরও আসত না ,
জানোয়ার নথিভুক্ত হত দপ্তরে ।
এক মা ও সুরে স্বচ্ছ হোত পরিবার।

থাক মায়ের কথা , এত ফুরাবে না ,বাবা আসছেন না ।
এটা নতুন খবর নয় বাপের বাড়ী মায়ের,
আর বাবুদের পোয়া বার
গঞ্জিকা সেবন ছেড়ে দেশী বিদেশী ,ভোলা কে ভুলে থাকা যায়?
প্রতি-মায়ে মা ভুলে......
আর বেশী বলব না
প্রতিমা ছেড়ে অসুর আমায় তাড়া করতে পারে,
আপনি চেয়ে দেখবেনও না প্রতিমায় নজর রেখে।

আমার মা-বাবা নেই ,বৌ-ছেলে নেই,
লক্ষী-সরস্বতী নেই , শুধু সমাজ আছে ।
আমাকে বেঁচে থাকতেই হবে।
               ...............প্রদীপ

আবাহন




কে যেন ডাকে ,
কলম আঁচড়ে সাজাই তোমায় যখন
মেঘনা যমুনা এক হয়ে যায় ,ভাসি সর্বক্ষণ
শ্বেত করবীর গন্ধসুধায় মেতে ,
বকুলের ঐ ঝরে যেতে যেতে
কোকিল বসে কৃষ্ণচূড়ার শাঁখে,
আমায় কে যেন ডাকে।

কে যেন ডাকে ,
ভোলায় সকল না ভোলা সব ব্যাথা
পৌষ পাবন চৈত্র চড়ক গাঁথা
পলাশ শিমুল আগুণ ছড়ায় বুকে
আমি যখন আমার মনের দুখে
পাঁজা তুলো শরতের আসমানে
কাশ ফুলেদের দোলার গানে গানে
মননদির ঐ নতুন কোনো বাঁকে
আমায় কে যেন ডাকে ।
  
কে যেন ডাকে,
প্রাণে ঢেলে উল্লোলিত তাণ
নব বসন্তে পাতা ঝরার গান
কিংবা বর্ষা দেয় ঝেড়ে সব মুছে
নবপল্লবে সকল বেদন ঘুঁচে
শুকপাখিদের নৃত্য ঝাঁকে ঝাঁকে
আমায় কে যেন ডাকে

কে যেন ডাকে ,
নতুন সুর্য নতুন স্বপ্ন মেখে
আমি আমায় আমার সাক্ষী রেখে
ডাণা মেলে ওড়ার অভিপ্রায়ে
শহর ছেড়ে নতুন কোনো গাঁয়ে
ভেসে ভেসে নীল গগনের শেষে
দিগন্তে ঐ প্রানের সাথে মিশে
বেঁধে আমায় আর কেমনে রাখে
আমায় এখন এই বসুধার ডাকে
কে যেন ডাকে ।
  ..................প্রদীপ

বেগুনে জ্বালাবেন না




তেলে বেগুনে জ্বলেছেন ? জ্বালিয়েছেন নিশ্চয় হলফ করে বলতে পারি
নতুন যখন সলতে বানাতে প্যাঁচ খায় না তুলো,
কড়াই এ বেগুন জ্বলেছে সাথে আপনি ,আমিও
আর ঐ লোকগুলো ,পিঠে কুলো বেধে চোখে ঠুলো।
যাক, এ বেলা থাক আজেবাজে কথা ,
নইলে তো অভিমানে ডুমুরের ফুল হয়ে
মন্থণার মন্ত্রণায় সলতে বানাবেন আমারে
তাই ভবনাথ ক্লান্ত দিয়ে ক্ষান্ত এ আসরে ।



বাসরে যদি শ্বশুরবাড়ীর কেউ থাকে সে তোমায় ছেড়ে ভিন্ন
কেউ হতে পারেনা ।আমিও তো সেই থেকে ঐ বাড়ীর ই লোক,এটাই গোলো যোগ, আমার নিজের বলে কি আর কিছু রইলো ?রজণীগন্ধার গন্ধ নেবার পরে , এই আসরে ,স্বধাঃ, তেরেকেটে ধা ধা ধা
   

শণির বলয় দেখেছেন ,আমার বলয় টা একটু ছোট্ট ,স্যাটেলাইট গুলোর আরও ,আরো একটু
 একটু একটু করে ছোট হতে হতে বীজে এসে লালবাবায় বন্দি
তেলে ধোঁয়ায় আঁশটে  উফ , আর না , আমি আবার অঙ্কুরিত হব'
অগ্নি পরীক্ষা নয় , হে জগন্মাতা , আমায় গর্ভে ধারণ করো
রাত না হোলেও নাসিকা গর্জন তুলে ,তারে ভুলে,
আমি ঘুমোই।



..................প্রদীপ