কে যেন ডাকে ,
কলম আঁচড়ে সাজাই তোমায় যখন
মেঘনা যমুনা এক হয়ে যায় ,ভাসি সর্বক্ষণ
শ্বেত করবীর গন্ধসুধায় মেতে ,
বকুলের ঐ ঝরে যেতে যেতে
কোকিল বসে কৃষ্ণচূড়ার শাঁখে,
আমায় কে যেন ডাকে।
কে যেন ডাকে ,
ভোলায় সকল না ভোলা সব ব্যাথা
পৌষ পাবন চৈত্র চড়ক গাঁথা
পলাশ শিমুল আগুণ ছড়ায় বুকে
আমি যখন আমার মনের দুখে
পাঁজা তুলো শরতের আসমানে
কাশ ফুলেদের দোলার গানে গানে
মননদির ঐ নতুন কোনো বাঁকে
আমায় কে যেন ডাকে ।
কে যেন ডাকে,
প্রাণে ঢেলে উল্লোলিত তাণ
নব বসন্তে পাতা ঝরার গান
কিংবা বর্ষা দেয় ঝেড়ে সব মুছে
নবপল্লবে সকল বেদন ঘুঁচে
শুকপাখিদের নৃত্য ঝাঁকে ঝাঁকে
আমায় কে যেন ডাকে ।
কে যেন ডাকে ,
নতুন সুর্য নতুন স্বপ্ন মেখে
আমি আমায় আমার সাক্ষী রেখে
ডাণা মেলে ওড়ার অভিপ্রায়ে
শহর ছেড়ে নতুন কোনো গাঁয়ে
ভেসে ভেসে নীল গগনের শেষে
দিগন্তে ঐ প্রানের সাথে মিশে
বেঁধে আমায় আর কেমনে রাখে
আমায় এখন এই বসুধার ডাকে
কে যেন ডাকে ।
..................প্রদীপ
No comments:
Post a Comment