এদিকে আসুন, আসুন না
ওই ডানদিকে কোনের চিতাটায় আমার শবদেহ
শীতল আগুনে জ্বলছে।
বিশ্বাস করুন , আমার আগুনে খুব ভয় ছিল
হাত জ্বলেছিল কালিপূজোয়,
ভীষন যন্ত্রণা।
কিন্তু এ দহনে কোনো জ্বলন নেই
আমার সাথে যে বৃক্ষের দেহাবশেষ জ্বলছে,
ওদের দেহে কোকিল, বুলবুল ডাহুকেরা খেলা করতো
কত ফুল ফুটেছে বসন্তে
আমি চেয়ে চেয়ে রঙ-এ রঙ-এ গানে গানে হারিয়ে যেতাম
ঘুচে যেত জীবনের সব তাপ।
আজ ঠীক সেই রকম-ই ওদের উষ্ণ আলিঙ্গনে
বসন্তের ছোঁয়া।
বাতাস মাঝে মাঝে পাখিদের ডাক
দিয়ে যাচ্ছে আশ্বাস।
আর শরীর টা মিলে মিশে যাচ্ছে প্রকৃতির মাঝে
সেই হারিয়ে যাবার মত করে।
ইস, আপনি কাঁদছেন?
কেন?
আগে তো জল দেখিনি চোখে
জ্বলন্ত লাভা ছিল দৃষ্টিতে
আমার ভয় হত।
ভয় ঠীক নয়,
তবে নোংড়া ঘাটা অপছন্দ ছিল ।
রক্ত করবী আপনার পছন্দের ফুল ছিল
কত মধুপান , কত ঘাট ,
কত ফল না দেওয়া প্রতিশ্রুতি।
আজ এ ঘাটে আপনি কাঁদলে,
আমার চোখে কোথায় পাব জ়ল ?
দু বাহু আর দেবে না সাথ
বুকে করে মুছব কেমন করে
ওই অনুশোচনা গুলো ?
এখন দেখুন ময়না বাসা বাঁধছে
অশ্বত্থের কোটোরে,
দোয়েল কোয়েল দের মিলন মেলা শুরু
কাঠবেড়ালী উঁকি দিয়ে ছুটে যায়
পাতা ঝরা ডালে, নবপল্লব বিকশিত;
ফুলে ফুলে ভ্রমরের গুঞ্জন
পাখিদের ডাকে রাগ রাগিণী
হাঁসেদের নৃত্য নীল জলে
পাণকৌড়ি ডানা মেলে ডালে
মাছরাঙ্গাদের-ও রঙ লেগেছে মনে।
আসুন, এখানেই দেখা হবে।