rodchaya

rodchaya

Wednesday, 29 June 2011

নিজেকে

অনেকদিন  ভালোবাসিনি
অনেকদিন ছুয়ে দেখিনি
চেয়ে দেখোনি বহুদিন আমি নিজেরে যতন ক'রে
মিষ্টি ভোরে ,
সাঝের আলোয়
কড়া নাড়িনি মোর দুয়ারে একান্তে চুপিসারে।

বসন্ত এল , আসনি তুমি
কোকিল ডেকেছে , ডাকনি তুমি
শিমূল ফুটেছে , ফোটোনি তুমি 
মঞ্জরি এল এলেনা তুমি

দগ্ধ হয়ে বদ্ধ আমি তোমার প্রতীক্ষায়
দিন কেটে রাত , রাত কেটে দিন
একে একে কত যায়,
আশ ভ'রে না শ্বাস টি গুনে
বর্ণ ছন্দ সব গেল রয়ে।
একা আমি  হেথা ভগ্নধারা
হৃদয় সেথায় ছন্নছাড়া
বিহবল মন মানে না যতন 
ডাকে শুধু কাছে হায়
ভালোবাসিনি ছুয়ে দেখিনি 
জানিনা অন্তরায়।


হারায়ে



ঈশ্বর খুঁজিছে আমায়, আমি রই পালায় পালায়
লুকায়েছি কামে লোভে আর,
ক্রোধে মোহে সদা বারে বার
ঈশ্বর খুঁজিছে আমায়,আমি হাসি, খুঁজিয়া না পায়।

দম্ভেতে ফাপে মোর বুক, চারিদিকে কি যে মহাসুখ।
গরবের থলি ভরি আর , আসে ভরে ঐ অহঁকার
সে খুজিছে মোরে তার তরে , আমি হাসি মন প্রান ভরে;
ঈশ্বর খুঁজিছে আমায়, আমি আছি নিজ মহিমায়ে।

যৌবন হলো গিয়ে পার,ফিরে দেখি দুখ যে অপার;
ঈশ্বর খুঁজি আমি শুধু, মরুভুমি ছেয়ে ঐ ধুধু
কাম ক্রোধ লোভ মোহে হায়,জ়ীবনের ঝরা বীথিকায়
মন সুধু আজ তারে চায়, সে রয় পালায় পালায় ।

দেখবেন ত' পড়া যায় নাকি ?"



দাদা, দেখবেন ত' পড়া যায় নাকি ?
নই আমি কবি, ছন্দে হবেই একটু ফাঁকি।
সখ ছিল ষোল আনা,
রবীন্দ্র বা নজরুল ঘরানা ?
না না ; সুকান্ত ? ভ্রান্ত , অভ্রান্ত।

প্রদীপ জ্বেলে বাংলা হয় নি পড়া,
হয় নি আজও ইতিহাস কোনো গড়া।
অভিধান খুজি শব্দে জব্দ হয়ে,
ব্যাবধান যত, শুধুই গিয়েছি সয়ে।

তথাপি দেখেছি একটু লেখার ঝোঁক,
আপনাকে দেখে, শুকনো গলায় ঢোক।
মনে মনে ভাবি আত্মগোপন করি,
আবার ভেবেছি, হাতে বা পায়ে ধরি ?

জীবনানন্দ নিরমলেন্দু গুনের সীমা নাই
বিষ্ণু সুভাষ হাত বাড়িয়ে কোথায় ভেসে যাই,
কলম ধরে শুন্যে চেয়ে, ওদের কথা ভেবে,
তোমার কথা মনে এল ,একটু জায়গা দেবে?

সাধ কি আমার মেটে ?
অসীম পটাকাশ, মহাশুন্যে গড়া।
আমার নিবাস সেই আকাশে ধরে বসুব্ধরা।
ভালবাসায়ে ভরা, শান্তি হৃদয় জোড়া।

একটু জায়গা আরো, তোমার ভুবন পরে।
গাইব আমি গান , নিত্য নতুন সুরে;
হৃদয়ে হৃদয় জুড়ে, মালা গেথেই যাব
ছন্দে বরনে মনে, সুরভী ছড়াবো।

দাদা, হল' কি বলা , না বলা কিছু কথা ?
না গেল হয়ে প্রলাপ, ভাবে বর্নে
ব্যাথা?
অথবা , বলা কথা , বলছি নতুন করে?
আমার মনের ছবি , প্রাদীপ তুলে ধরে।

ক্ষুধা



জনম থেকে স্তন খুঁজে আমি
তন খুঁজি যৌবনে,
ধন খুঁজি মনে, লোলুপতা সনে
মরে যাই সদা মনে।
মন অরণ্যে
সদা স্মরণ্যে,
শুধু ঐ একই সুধা...
ক্ষুধা।

ক্ষুধা তো আজকের নয়,
ক্ষুধা তো জনমের, আর কত সয়?
পেটে, নজরে, মনে, শরীরে
ক্ষুধাই ক্ষুধাময়।

জানো, এর পিছনেই জীবন পণ করে
আসরে আসরে ছোটা
প্রান্ত থেকে প্রান্তরে
জন্ম জন্মান্তরের কামনা বাসনা।
যাতনা আর যাতনা। তুমি মানবে?

তুমি মানবে, কেননা এই দৌড়ে
তুমিও সামিল
শুধু একটু মনের গড়মিল।
তাছাড়া ভেবে দেখো
সনাতন থেকে আদিকাল
ইহকাল-পরকাল
আজকাল,
কাম-কাঞ্চন সুধা
বিলিয়ে দিচ্ছে মানবিক যত দ্বিধা
শুধু ক্ষুধা আর ক্ষুধা।

আরো বলি শোনো,
লাইবেরিয়া, বুরুন্ডি, কঙ্গো
ঘুরে দেখো নানা স্থান
আফ্রিকা থেকে আরো কাছে এসে
আফগানিস্তান
চির রোদনের তাণ।
ক্ষুদাই সেখানে সঙ্গ
মানব ছত্রভঙ্গ।
পুজিঁ এসে শেষে করুণার বেশে
খন্ড খন্ড, লন্ডভন্ড।

তুমি জেনেই তো ছিলে সদা
এ তো আর নয় ধাঁধাঁ।
বাধা শত ঢেলে
বাসনাকে মেলে,
হতভাগী বসুধা
দিয়েছে যে শুধু ক্ষুধা।

আহারে



কি আর বল কব ? অনন্ত মাঙ্গিয়া লব।
নাহি অন্ত নাহি পার, বিশ্বপারাবারে,
আহারে!
তব সুধা জাগায়ে রেখেছে মোরে,
অনন্তের দরবারে,
আনন্দ আর খুশীর সম্ভার; নাই কদা হাহাকার।
মালা গাথা সকল সুখেরে জুড়ে, দেহের-এই মন্দিরে,
অনন্ত রুপ লাগি, অপরুপ সংসারে।
আহারে!কি আর বল কব ?
নিরবাক চেয়ে রই, পথ চাহি শুধু ওই।
অনন্ত দরবারে
আহারে , আহারে। 

তোমায় দেখা




ইহকাল চর্চায় কাল কাটাতে স্বপ্নের জাল বোনা,
আনমণে বাস্তব থেকে দূরে , একটু ঘুরে
তোমায় দেখা।
অনুনয়ের সুর ধরে দু-চার কথা,
আশা-ভালবাসায় কিছু দেওয়া কিছু নেওয়া ,
কর্মযজ্ঞের  আহুতি দিয়ে  মায়াবীনি কে কাছে পাওয়া।


উল্লাসিত মনে ছুটেছি তব পানে
তুমি তান বেধেছিলে পরকালের গানে,
শ্বাস গুনে গুনে যবনিকা টেনে
অপলক চেয়ে থাকা,
ভালবাসা জ্ঞাণে
ছেয়ে গেল মণে সকরুণ বিষাদ বাদল, 
 থেমে যাবে , স্বপ্নের জাল বোণা।

এই আনাগোনা সংসার প্রান্তরে
মায়াজালে আমি-তুমি বাধা
ইহ-পরকাল ব্যাবধান , সংশয় শুধু মনে
কি জানি আর কত শ্বাস আছে বাকী 
দিতে ফাকি ইহকাল ।

লয়


কবিতা নয় এটা , গল্প।
অল্প অল্প করে যাব তোমার সীমানায়
উকি দিয়ে দেখব ভান্ডারে প্রেম আছে কয় মণ ?
শরতের আকাশে শুভ্র নীরদে প্রাণ আছে,
আমাদের বাড়ীর শিশুটির মতই বেড়ে ওঠে কাদম্বিনী হয়ে।
ঝরে পরে জ়ীর্ন দেহে,ভালোবাসা দিয়ে।

শিউলী বকুলের ঝরে পড়াতেই সুখ,
আমি তোমার আচল ধরেই ছিলাম
মায়ার বাধন অটুট চিরদিন
আজ় প্রদীপের জ্বলে যাওয়ার আশা
তুমি বাসবেতো ভালো?
যদি নাই বা হলো তাই
মরিচীকার মতই হারিয়ে যাব,
ঝরে যাওয়া স্বপ্ন হয়েই রবে।

বেসুরেতে সুর বেধে লয় খুজেছি
দেখি,সুরুতেই লয়।

তোমার অট্টালিকার অলিন্দ বেয়ে
নেমে এসেছে গান,
শব্দ ভালবাসার।
মুখ তুলে দেখি, তুমি চেয়ে আছ আমার পানে,
মুখে মৃদু হাসি, বাতাসে তোমার ঝঙ্কার।
একটা তাণ ভেসেছিল এসে
অজানার পথে ঝরে প্রান ভোরে।

সুর্য অস্ত  যাবে না আর
বিধাতা বলে গেল প্রাতেঃ
অল্প অল্প করে লয়ে যাবে
গল্পের শেষ প্রভাতে।

তুমি কেমন আছ?


তোমায় নিয়ে ভাবি
কপর্দক হীন সময়গুলোতে ভাললাগা ছিল
প্রহরী হয়ে এগার দ্বার সামলেছি.
 আশাগুলো ভালোবেসে ঘুমিয়েছিল অন্তর্জলির কথা ভেবে
কর্মচারী হয়ে ছিলাম
দেহ, ভাব,তত্বাচারের বিরতি দিয়ে
যা অনুষ্ঠান , বিরতি ছিলনা তার।
লৌকিকতা বহুদুর, সুর মিলিয়ে একটা আভাস মাত্র ছিল।
আমি হারিয়ে যাই নি,চেতন মনে থেকে।

হারিয়ে আমি, আমায় ভেবে আজ,
আশার বাণে নিমজ্জিত প্রহরের প্রহারে ঘুম ভাঙ্গে নি।
স্পর্শ গন্ধ ভুলে, মনে মনে বসন্তের খোজে
দাবানল জ্বেলেছে ফাগুণ,
আমার সম্বিত অবচেতন মনে প্রতিবিম্বে আবদ্ধ
রাজত্বে সম্রাট হয়ে ভাললাগার বিসর্জন সেরে
আমার অনুষ্ঠান।
এই দেহ পুরমে সবদ্বার বিব্রত করে
শবাধার,
আমার আজকের পরিচয়।



তুমি কেমন আছ?

বিবেক


এদিকে বেলা বেড়ে যায় ,
বুড়ো নীম গাছটার শাখায় শাখায়
কাঠবেড়ালীর ছোটাছুটির ছুটি।

একটা কুতসিত মাকড়সা সেই তখন থেকে জালে বসে,
আমার-ই মতো ।

একা বসে বিজলীর তারে বুলবুলি টার দৃষ্টিতে বিরহ?
দড়ির টুকরোটা হাওয়ায় দুলছে
আর ছায়া বুড়োটা ঘাড় নাড়ছে।

একটা স্থির সাদা মেঘ
একমনে  দেখে চলেছে আমায়।
পাতাগুলো নিঃশব্দে আশ্রয় নিচ্ছে মাটির বুকে।
ঘড়ির তিনটে কাটা  খুব নেশা করে,
আর রেডিও টা ঝড়ের শব্দ শোনায়।

'ওঠো জাগো' সন্ন্যাসী দেওয়ালে ঝুলছেন,
একটা টিকটিকি ঠিক ঠিক বলে গেল
আমার-ই কথা,
"চেয়ে চেয়ে কত যাবে ছেয়ে,ভেলা বইবে না এই পথ বেয়ে।"

অঞ্জলী






অঞ্জলী তে ফুল ছিলো আর ছিল আশা
মন্ত্রের অক্ষরে অক্ষরে প্রত্যাশা।
প্রেম না ভালোবাসা, কি জ়ানি ?

চেতনা ছেয়েছে অস্মিতার তোয়ধরে
আলস্য ছিনেছে দায়ভার
সত্ত্বা দিগম্বর হয়ে ভূলুন্ঠিত
মানের স্বপন হুশ ছেড়ে কারাবাসে।
মানুষ শ্বাসে আশে। ভালোবাসে ?

আমি ছিলাম দূরে  উপবাসে, সমীপে তোমার
উপহাসে কেটে গেল কাল
বিন্দু তারায় চমকিত আখি।
দূরে, বহুদুরে একাকী
কল্পে শুধু তুমি।

হারিয়ে যাওয়া এখনো আছে বাকি
খুজে না পাওয়া  নিজেকে বয়ে চলেছি কতকাল
হারাবার নিমিত্তে, তোমার ঠীকাণায়।
অঞ্জলী তে নিয়ে শুধু ভুল।

Tuesday, 28 June 2011

তোমায় নমস্কার


কিছু যদি আরো থাকে বাকি,
আরও রঙ,
বর্ণে ভাবে ছন্দে গানে,
রুপ রঙ্গে অঙ্গে অঙ্গে মেতে,
চায় থেকে যেতে,
প্রতীক্ষায় এই মনপাখী, একাকী,চেয়ে তব পানে।

প্রসঙ্গের তরঙ্গ তটিণীতে
হিল্লোল আনে প্রানে,
কে জানে,
কেমনে দেয় এনে শিহরণ ক্ষণে ক্ষণে,
পলে পলে ,
ছলে কৌশলে,
শব্দের মায়াপুরী থেকে ভাবের যাদুঘর।
আমি স্বপ্নপুরী তে এসে শুধাই,
আছে, আরো ,
আর ও কিছু বাকি?

উদাসী জ্যোতস্নায় জোনাকীর ছটায়
বা কালো বাদলের ঈশাণ ঘণঘ্টায়
ভেঙ্গে পড়ি পয়োধরে এসে।
থাকি শুধু চেয়ে,
নিঃশব্দে তোমার গান গেয়ে
জানাই যে বারেবার



তোমায় নমস্কার।

I shall never die


The body was kept covered white
Wreath and flower dressed bright
Diamonds of tears
Here and there
Fallen through eyes, friends and dears.
Woe to share,
I wasn’t there.

Forgot to take my breath
Left flesh and blood.
You promised not to weep,
As I still exist;
In this loving earth
With every dirt and mud
In the green and blue
With universal clue
All that love, only love.

I am here, ‘m there and everywhere
Where you live, you inhale and exhale.
With a smile, walked miles
To endorse all my passion
Your mission my ambition and love
On my behalf.

I’m now in all that door
Slum or palace even more
Not in flesh not in blood
With my passion in your heart
Don’t ,don’t ever cry



I shall never ,never die

প্রশ্ন


হাজা্র হাজা্র মানুষের মাঝে
বাতাসে লক্ষ লক্ষ শ্বাসে, এ দেহ টিও খুজে নেবে অক্সিজেন
অজান্তে , একান্তে।

চোখের তারা তন্ন তন্ন করে খুজবে একজন চেনা অজানা কে
ক্ষণে ক্ষণ বিচলতায় নিজেকে হারিয়ে দিয়ে
একটি প্রশ্ন জানতে।

শহরের ব্যস্ত জনপথে ক্লান্ত চিন্তা গুলো দলে দলে
আশ্রয় নেবে ভাবনার রাজপ্রাসাদে
নতুন স্ফুর্তি আনতে।

ফেলে আসা দিন সেথা ,ছুটে গিয়ে ,
বিহবলতায় অস্ফুট উল্লাস হৃদয় ভরে
না জানা প্রশান্তে।

আজ অপরিচিত পরিচিতের খোজ,
চেনা সে গলিতে চলতে চলতে শঙ্কা চিত্তে ,
পারো কি চিনতে তুমি ?




Monday, 27 June 2011

এপার-ওপার



জীবন নদের ওপারে , পরপারে, অচেনা আধারে
নাই নাকি সুখ-দুঃখ মান
ব্রহ্মানন্দের সাগরেই মিলে মিশে একাকার
সকল অভিমান।
সেই ছেড়ে আসতে হবে ফিরে,যোনী পথ ধরে
জগত পারাবারে
ভুলে সকল বর্তমান, ধুয়ে অতীতের দরবারে, বারে বারে।
বুঝে পেতে হবে ধরনীর বুকে সুখের মন্ত্র খানি
এতটুকুই জানি,বিলাবে না কেউ এসে,
অন্তরে ভালোবেসে খুজে পেতে হবে
পরকালের ভাষায়, আশায় আশায় থেকে।


আমি জেনেছি একথা পরে, পরকাল এসে নেচেছে শিয়রে
মহাকাল রুপ ধরে,
বুঝেছি তখন এত নয় শেষ ,
শ্বাস নিয়ে হাহাকার,
ক্ষণকাল পরে ভ্রুণের আধারে ঠাই হবে যে আবার।
আবার ছলনা মায়াবীনি বেশে , ক্রোধ লোভ মোহে কামে,
ছেয়ে রবে দীপ, ছেড়ে সম্বিত , অদ্ভুত ধরাধামে।

কে জানে , পরজনমে কি হবে সে কথা?
জ়ীবন নদের ওপারে,
নেই নাকি কোন ব্যাথা।
তবু ফিরে আসার-ই তরে, দু চ'খে অশ্রু ভরে,
এও নাকি মায়া এপার ভূবণে ওপার গন্ধ বয়ে
মায়াবী রুপের যবনিকা টেনে
সব কিছু যাব সয়ে।

আমরা শুধু তিন জনা।



ছিলাম আমরা তিন জনা
বেদনা ,
আমি আর যাতনা।
পথ ভুলে,
ওই দূরে,
অচেনা আনন্দপুরে
যাযাবরের পথ চলা
কি আর বলা ?
দিন বসে দিন গোনা
আমরা শুধু তিন জনা।

আমি আর দুজনা
প্রিয় আমার বেদনা
যাতনাকে নিয়ে এসে
ছাড়ি তারে কেমন শেষে
শিরে আমার শুধুই ভ্রম
ওরা আছে সর্বক্ষণ
দিগবিদিগ শূন্য জ্ঞান
সবকিছুই আনমনা
আমরা শুধু তিন জনা।

প্রেমে প্রেমে আলাপ ছয়
মনটা আমার কেমন হয়
কেমন করে করি আপন
ওরা দুজন যমজ স্বপন
দিবারাত্র সর্বক্ষন
ওরা আমার বীজবোনা
আমরা শুধু তিনজনা।

ওদের নিয়েই আমার সুখ
এটাই দেখি বাস্তবে
ওদের ছেড়ে মিছেই শুধু
দিন রবে না রাত রবে
বুকটি ভরে যতন করে
ওদের নিয়েই কাটাই রাত
হয় যদি বা কখন কোথাও
একটি শুধু সুপ্রভাত।
এই স্বপনেই জীবন গাথা
বসে বসে জালবোনা
আমরা শুধু তিনজনা।

Sunday, 26 June 2011

বিগত' শ্বাসে





কুড়িয়ে নেওয়া অন্ধকারের বদ্ধদ্বারে বন্দী হয়ে চলেছি মহাপ্রস্থানে
পিছন ফিরে দেখি অবক্ষয়ের ইতিহাস লিখেছে বিবেক গোপনে
অবসাদের স্বাদ তিক্ত কালমেঘকে আব্রু টানতে করেছে বাধ্য
ক্ষণে ক্ষণে হাজার ক্ষণকে সাক্ষী মেনে কাল কাটানো অসাধ্য।
এ দেহের অজপা ফুরাতে এখনো যে কত' বাকি শুধু সেই জানে
তবুও বসন্তে পড়েনি মনে ক্ষণিকের তরে, পড়লেও কে মানে ?
বৈরাগ্য আসত যদি এক ঋতু আগে, ভাসত ভেলা ব্যাকুলতার টানে
তোমায় ভালোবেসেছিলাম কিনা , কে জানে ?
কাটলে সংশয় যা ছিল সব মনে , হয়তো মহাপ্রস্থানে 
থাকত বিশ্বাস ,শুধু তোমায় জেনে।

দেখা হবে






এদিকে আসুন, আসুন না 
ওই ডানদিকে কোনের চিতাটায় আমার শবদেহ
শীতল আগুনে জ্বলছে।
বিশ্বাস করুন , আমার আগুনে খুব ভয় ছিল
হাত জ্বলেছিল কালিপূজোয়,
ভীষন যন্ত্রণা।
কিন্তু এ দহনে  কোনো জ্বলন নেই
আমার সাথে যে বৃক্ষের দেহাবশেষ জ্বলছে,
ওদের দেহে কোকিল, বুলবুল ডাহুকেরা খেলা করতো
কত ফুল ফুটেছে বসন্তে
আমি চেয়ে চেয়ে রঙ-এ রঙ-এ গানে গানে হারিয়ে যেতাম
ঘুচে যেত জীবনের সব তাপ।
আজ ঠীক সেই রকম-ই ওদের উষ্ণ আলিঙ্গনে
বসন্তের ছোঁয়া।
বাতাস মাঝে মাঝে পাখিদের ডাক
দিয়ে যাচ্ছে আশ্বাস।
আর শরীর টা মিলে মিশে যাচ্ছে প্রকৃতির মাঝে
সেই হারিয়ে যাবার মত করে।


ইস, আপনি কাঁদছেন?
কেন?
আগে তো জল দেখিনি চোখে
জ্বলন্ত লাভা ছিল দৃষ্টিতে
আমার ভয় হত।
ভয় ঠীক নয়,
তবে নোংড়া ঘাটা  অপছন্দ ছিল ।
রক্ত করবী আপনার পছন্দের ফুল ছিল
কত মধুপান , কত ঘাট ,
কত ফল না দেওয়া প্রতিশ্রুতি।
আজ এ ঘাটে আপনি কাঁদলে,
আমার চোখে  কোথায় পাব জ়ল  ?
দু বাহু আর  দেবে না সাথ
বুকে করে মুছব কেমন করে
ওই অনুশোচনা গুলো ?

এখন দেখুন ময়না বাসা বাঁধছে
অশ্বত্থের কোটোরে,
দোয়েল কোয়েল দের মিলন মেলা শুরু
কাঠবেড়ালী উঁকি দিয়ে ছুটে যায়
পাতা ঝরা ডালে,  নবপল্লব বিকশিত;
ফুলে ফুলে ভ্রমরের গুঞ্জন
পাখিদের ডাকে  রাগ রাগিণী
হাঁসেদের নৃত্য নীল জলে
পাণকৌড়ি ডানা মেলে ডালে
মাছরাঙ্গাদের-ও রঙ লেগেছে মনে।
আসুন,  এখানেই দেখা হবে।